১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে বিরাট গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড জন্মলাভ করে আজ ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। তৎকালীন সরকারি প্রতিষ্ঠান শিল্প উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক ১৪″ব্যাস সম্পন্ন ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস-ডেমরা সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণের পর ১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে কোম্পানী বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক জনাব শওকত ওসমান-এর বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হয়। একটি প্রগতিশীল জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিতাস গ্যাস তার সেবার মাধ্যমে জনগণের আস্থাভাজন হবার গৌরব অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে এ গৌরবময় সাফল্য অর্জন।
বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সুদৃঢ় করতে তিতাস গ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এমনকি প্রাকৃতিক গ্যাসের কাক্সিক্ষত ব্যবহার নিশ্চিত করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানীসমূহের আগ্রদূত হিসেবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে তিতাস গ্যাসের অবদান এর অনির্বাণ শিখার মতই দীপ্তমান। ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর তিতাস গ্যাস কোম্পানীর ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। কালের যাত্রা পথে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ সাধনে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে তিতাস গ্যাস তার কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশের প্রধান ও পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রাহকের দোরগোড়ায় সরবরাহ করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি ও প্রগতির লক্ষ্যকে ধারণ করে তিতাস গ্যাস ৫০ বছরের পথ পেরিয়ে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।